পর্ব-এক
প্রথমেই বলে রাখি ফাইভারে এসইও পার্মানেন্টলি কাজ করে না তাদের অটোমেটেড এলগোরিদমের জন্য। তবে একেবারেই কাজ করে না তাও না। কিছু কাজ করে। আমি যে টিপস দিচ্ছি এটা মোটামুটি বেসিক আর একটু টেকনিকাল ব্যাপার। লেভেল ২ সেলার হিসেবে এখন পর্যন্ত এই ব্যাপারে আমি যা এক্সপেরিয়েন্স করেছি সেটা বলছি।
প্রথমেই ফাইভারের অন-পেইজ এসইও নিয়ে বলি কারণ এটাই ভেজাল আর টেকনিকাল বেশি। কেমনে করবেন অন-পেইজ এসইও? খুব সহজ।
- গিগ এর জন্য কি ওয়ার্ড বসাতে হয় গিগ এর টাইটেল, টাইটেল এসইও, ডেসক্রিপশন আর ট্যাগে। এখন কি ওয়ার্ড খুজবেন হচ্ছে ফাইভার সার্চ বক্সে আপনি যে বিষয় নিয়ে কাজ করেন সেটা লিখবেন তখন নিচে দেখবেন অটো সাজেশনে আরো কিছু কিওয়ার্ড আসছে আপনার কাজ এর সাথে রিলেটেড। সেই কিওয়ার্ড গুলা নোট করবেন। আরো কি ওয়ার্ড সাজেশন পাইতে আপনি যে সার্চ দিলেন কি ওয়ার্ড বা আপনার কাজের বিষয় লিখে এরপর নতুন পেইজ আসবে যেখানে অনেক গিগ থাকে। সেই পেইজের একদম উপরের দিকে তয়াগ আকারে আরো অনেক কি ওয়ার্ড পাবেন। সেগুলাও চাইলে নোট করে রাখতে পারেন যদিও এটা বাধ্যতামূলক না। চাইলে keyword.io থেকে ''FIVERR'' অপশন সিলেক্ট করে বিশেষ নিশ এর জন্য আরো কিওয়ার্ড সাজেশন পাইতে পারেন। তবে এতো প্যারা না নিলেও চলে। সার্চ বক্স সাজেশনের গুলাই কাজে লাগাতে পারলে হবে।
- সব কি ওয়ার্ড নোট করার পর এবার আপনি রিসার্চ করবেন। আপনার কাজের সাবজেক্ট এর উপর যারা অলরেডি কাজ করে অনেক রিভিউ পেয়েছে বা প্রথম পেইজে আছে এরকম তিন/চারটা সেলারের একাউন্ট খুলে দেখেন তাদের টাইটেল আর ট্যাগ গুলা কি দেয়া আছে। সেগুলার সাথে আপনার নোট করা কিওয়ার্ড কোনগুলা মিলে এরকম পাঁচ থেকে দশটা কিওয়ার্ড প্রথম চয়েস হিসেবে রাখেন।
- এরপর সেই কিওয়ার্ড গুলা থেকে আপনার টাইটেলে, এসইও টাইটেল, ট্যাগ আর ডেসক্রিপশনে বসাবেন। আর টাইটেলে ব্যবহার করা কিওয়ার্ড টা অবশ্যই ট্যাগেও ব্যবহার করবেন। ডেসক্রিপশনে প্রায় সব কিওয়ার্ড অন্তত একবার ব্যবহার করলেই হবে। যদিও এটা জরুরী না। টাইটেল আর ট্যাগের কিওয়ার্ডই আসল। তবুও সেইফ জোনে থাকতে ডেসিক্রিপশনেও দিয়েন কিছু কিওয়ার্ড।
-পর্ব এক শেষ-
পর্ব- দুই
এবার আসা যাক ইমেজ এসইও তে।
আপনি আপনার ফাইভারের গিগ এর জন্য আপনার করা বেস্ট ডিজাইন গুলা ইমেজ পোর্টফলিও আকারে তিবেন তিনটা। ইমেজ এর সাইজ দিবেন ৫৫০x৩৭০ পিক্সেল সাইজের। চাইলে ইমেজ এর মধ্যেও দুয়েকটা কিওয়ার্ড টেক্সট আকারে দিতে পারেন তবে এটাও বাধ্যতামূলক না। কিন্তু ইমেজ গুলা সুন্দর হইতে হবে। ইমেজ ফাইল জেপিজি ফরম্যাটে দিয়েন। ইমেজ এসইও সরাসরি ফটোশপেও করা যায় ইমেজ বানানোর সময় আবার নরমাল ভাবেও করা যায়। নরমাল নিয়মটাই বলি। যে তিনটা ইমেজ গিগ ইমেজ হিসেবে ব্যবহার করবেন সেগুলার প্রত্যেকটাতে রাইট ক্লিক করে অপশনের একদম নিচে ''প্রপার্টিজ'' -এ যাবেন এরপর প্রপার্টিস বার এর একদম উপরে ''ডিটেইলস'' ক্লিক করে এরপর প্রথম টাইটেল আর সাবজেক্টে আপনার গিগ এর টাইটেল টাই কপি করে দিবেন। এর নিচে স্টার গুলাতে ফাইভ স্টার সিলেক্ট করে দিয়েন। তার নিচেই থাকে ''ট্যাগস'' সেখানে আপনার টাইটেল, ডেসক্রিপশন, ট্যাগ আর যেসব কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে পারেন নাই জায়গা স্বল্পতার কারণে সেসব কিওয়ার্ড গণহারে দিয়ে দিবেন। এরপর চাইলে ''অথর'' আর ''কপিরাইট'' অপশনে আপনার ফাইভার একাউন্ট নেইম বা ইমেইল দিয়ে দিতে পারেন তবে না দিলেও চলবে। এরপর এপ্লাই, ওকে দিয়ে সেভ করে ফেলবেন এভাবে তিনটা ইমেজই।
এইটাই হচ্ছে ফাইভারের এসইও। আশা করি এই নিয়মগুলা ঠিকমত পালন করলে একদম প্রথম পেইজে না অসলেও অন্তত ভালো র্যাংক পাবে। অনেকেই এটা জেনেও বলে না, আবার অনেকেই এটা জানে না, আবার অনেকেই জেনেও আলসেমির কারণে করে না। আবার অনেকেই জেনেও বুঝে না কিভাবে করবে, আবার অনেকেই এই সামান্য ব্যাপারটা শিখাইতে টাকাও দাবী করে। আমি ফ্রিতেই দিয়ে দিচ্ছি। এতে আমার কোন লস নাই। কিন্তু আগেই বলেছি যে ফাইভারের নিজস্ব এলগরিদমের জন্য গিগ র্যাংক উঠা নামা করে। তাই প্রতি এক দুমাস পরপর যদি দেখেন অর্ডার আসা বন্ধ হয়ে গেছে বা কমে গেছে তখন নিজে নিজে এভাবে কিওয়ার্ড রিসার্চ করে টাইটেল, ট্যাগ চেইঞ্জ করবেন। তবে আমি বলবো ঘন ঘন টাইটেল ট্যাগ চেইঞ্জ করলে গিগ র্যাংক হারায়। তাই এডিট না করাই ভালো আর করলেও অন্তত দুই মাসে একবার করেন।
সব কথা শেষ কথা হচ্ছে, গিগ এসইও এর জন্য অপেক্ষা কইরেন না। বায়ার রিকোয়েস্ট পাঠান, গিগ ডেইলি সোশাল মিডিয়াতে শেয়ার দেন, কারণ রিভিও যত পড়বে র্যাংক নিজে থেকেই এগিয়ে আসবে। সাথে এসইও টা এক্সট্রা বোনাস হিসেবে কাজ করে যাবে আর কি। ধন্যবাদ।
-শেষ-
No comments:
Post a Comment
ok